গণ আন্দোলনের ঐতিহ্য ও জ্যোতি বসুর অবস্থান

Dainik Pabna

জ্যোতি বসু

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য : জ্যোতি বসু আমাদের দেশের একজন প্রথম সারির কমিউনিস্টি নেতাকে তাঁর জন্মশতবর্ষে স্মরণ করছি। গণ আন্দোলনের ধারাবাহিকতা, তার ঐতিহ্যের মধ্যেই জ্যোতি বসুর অবস্থান। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে আলোচনা করতে যাওয়া এখানে সম্ভব নয়। চল্লিশের দশক থেকে তিনি রাজনীতি শুরু করেছেন এবং তাঁর জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি রাজনীতির সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পারা, তাঁর পাশে থেকে কাজ শেখা আমার জীবনের এক দুর্লভ অভিজ্ঞতা।
কোনও একটা বিশ্লেষণে, কিংবা কোনও একটা ঘটনার বর্ণনার মধ্যে জ্যোতি বসুকে সীমাবদ্ধ করা অসম্ভব। জ্যোতি বসু দেশের বামপন্থী আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক। বহু আন্দোলনের তরঙ্গে তাঁকে উদ্ভাসিত হয়ে উঠতে দেখেছি, বহু প্রতিকূলতার মধ্যে তাঁর উপস্থিতি দেখেছি। রাজনীতিতে তাঁকে জীবন্ত কিংবদন্তী বলা হতো। দেশে বিদেশে তিনি শ্রদ্ধার আসন অর্জন করেছিলেন। সাত দশক ধরে তিনি কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জনসাধারণের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা সবসময় তাঁর সঙ্গে ছিল। তাঁকে পার্টির নেতা হিসাবে দেখেছি। শ্রমিক, মধ্যবিত্ত কর্মচারীদের প্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। ছিলেন কৃষিজীবী সমাজের ভালোবাসার মানুষ। তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা ছিল বিতর্কের ঊর্ধ্বে। দেখেছি, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে তিনি কখনো দেরি করতেন না।

তিনি প্রথম বিধানসভার সদস্য হয়ে এসেছিলেন ১৯৪৬ সালে। পরাধীন দেশে যুক্ত বাংলার বিধানসভায় তিনি শ্রমিক কনস্টিটিউয়েন্সির প্রতিনিধি ছিলেন। তখন বাংলাদেশে, বলা ভালো, যুক্ত বাংলায়, গ্রামে গ্রামে চলছে তেভাগা আন্দোলন। তেভাগা সম্পর্কে বিধানসভায় বক্তৃতার মধ্য দিয়ে তিনি সারা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। বাংলার গ্রামে গ্রামে কৃষকদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম, তাদের ফসলের ভাগের জন্য লড়াই এবং তৎকালীন সরকার কীভাবে সেই কৃষকদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য পুলিশ এবং মিলিটারি ব্যবহার করেছে তা তিনি বিধানসভায় তুলে ধরেছিলেন। সেই ১৯৪৬ সাল থেকে যাত্রা শুরু। পরবর্তীতে স্বাধীনতার পরেও তিনি বিধানসভায় সারা রাজ্যের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধী নেতা হিসাবে অনবদ্য দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ১৯৫২ সালে তিনি বরানগর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় আসেন এবং বিরোধী দলের নেতা হলেন। স্বাধীনতার পরে আমাদের রাজ্যে উদ্বাস্তু আন্দোলন, খাদ্য আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন এই সমস্ত আন্দোলনে তাঁর অনবদ্য ভূমিকা ছিল বিধানসভার ভিতরে এবং বিধানসভার বাইরে। তিনি এই সমস্ত আন্দোলনকে সংগঠিত করতে প্রথম সারির নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে যে বিরোধী দলের বিরাট ভূমিকা আছে তা তিনি তাঁর জীবন দিয়ে, তাঁর কর্মপন্থা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেখিয়ে গেছেন কীভাবে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিরোধী দলের নেতা হিসাবে তিনি সফলভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীকালে আমরা দেখেছি দুটি স্বল্পকালীন যুক্তফ্রন্ট সরকার- একটা ৯ মাস, একটা ১৩ মাস। তিনি ছিলেন সেই সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার আসার পরে তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রায় একটানা ২৪ বছর তিনি সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

আমি ঘটনাবলীর মধ্যে না গিয়ে তাঁর জীবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক শুধু উল্লেখ করতে চাই। তা হলো, তাঁর সমস্ত কর্মপন্থার মধ্য দিয়ে তিনি রাজ্যের, দেশেরও সংসদীয় গণতন্ত্রকে সংহত করা, উন্নত করার চেষ্টাই করে গেছেন। তিনি আন্তরিকভাবেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। তাঁর জীবনে তিনি বহুবার বিনাবিচারে জেল খেটেছেন কিন্তু তিনি কখনও অন্যকে বিনাবিচার জেলে আটকাননি এটাই ছিল তাঁর বৈশিষ্ট্য। তিনি কোনও কালা আইন হাতে নেননি। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করেননি। এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলি, গণতান্ত্রিক অধিকারবোধগুলি, ব্যক্তি স্বাধীনতা, ট্রেড ইউনিয়নের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে তিনি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করেছেন এবং সেটি তাঁর কর্মপন্থায় প্রমাণ করেছেন।
এই প্রসঙ্গেই বলবো, পশ্চিমবাংলা এমন একটি রাজ্য, যেখানে জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে সারা দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (হিউম্যান রাইটস কমিশন) গঠন করা হয়েছিল। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তৈরি হওয়ার পর আমাদের রাজ্যেই দেশের মধ্যে প্রথম তা হয়েছিল। কারণ গণতান্ত্রিক কাঠামোয় জ্যোতি বসু আস্থা রাখতেন বলেই, সেই কাজ তিনি হাতেকলমে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন। সারা জীবন ধরে তিনি গণতন্ত্রকে এইভাবেই প্রস্ফুটিত করার চেষ্টা করেছেন।

আর একটি দিক সম্পর্কে উল্লেখ করতেই হয়, তাহলো, তাঁর জীবন চিন্তায়, তাঁর কর্মধারায়, তার রাজনীতিতে তিনি সর্বাঙ্গীণভাবে ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ। কোনও অবস্থাতেই কোনও ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক কিন্তু তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। এই প্রশ্নে দুটি বড় বড় ঘটনাটি তাঁর দৃঢ়তার প্রমাণ রেখেছেন এই রাজ্যে। শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর নিহত হওয়ার পর সারা দেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হলেও শিখ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একটা সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়েছিল। আমাদের রাজ্যে সেই আগুনের উত্তেজনা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, কিন্তু এই রাজ্যে কোনও অশান্তি হয়নি। জ্যোতি বসুর শক্ত হাতে মোকাবিলা সেই অশান্তির আবহ আমাদের রাজ্য পেরিয়ে আসতে পেরেছিল। ঠিক একইভাবে যখন বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয় তখনও সারা দেশে অনেক কা- হয়েছে, অবাঞ্ছিত কা-। আমাদের রাজ্যে সেই আগুনের হলকা এসেছে, কিন্তু তার মধ্যেও আমাদের রাজ্য একটা শান্তির পরিবেশ রাখতে সক্ষম হয়েছিল। নিশ্চয়ই এতে আমাদের রাজ্যের মানুষের কৃতিত্ব আছে। কিন্তু সবার উপরে ছিলেন জ্যোতি বসু, একজন দক্ষ প্রশাসক এবং নেতা। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি সেই দায়িত্ব পালন করতে পেরেছিলেন বলে সারা দেশের মানুষ জানতেন পশ্চিমবাংলায় ধর্মনিরপেক্ষতা সুরক্ষিত। পশ্চিমবাংলায় সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনও জায়গা নেই। জোতি বসু আমাদের রাজ্যের এই ঐতিহ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন। যদিও সেই বিপদ এখন নতুন করে জায়গা নিতে চাইছে।

আরেকটি কথা উল্লেখ করতেই হবে, সারা দেশের রাজনীতিতে তাঁর বিশেষ ভূমিকা, রাজনৈতিক নেতা হিসাবে তাঁর দায়িত্ব পালনের কথা, আমার মতে, দেশের রাজনীতির মঞ্চের মাঝখানে তিনি নিয়ে এসেছিলেন শ্রমিক এবং কৃষককে। শ্রমিক আন্দোলন এবং কৃষক আন্দোলনকে তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনের মঞ্চের মধ্যস্থলে দাঁড় করিয়েছিলেন। কারণ এরাই আমাদের দেশে বৈপ্লবিক শক্তি। তাদের চিন্তা, তাদের মুক্তি এবং তাদের রাজনীতিকে তিনি সারাজীবন ধরে বিশ্বাস করেছিলেন।

তাঁর কাছ থেকেই শোনা একটি দিনের কথা আমার এখনও মনে পড়ে: ‘জলপাইগুড়ি থেকে আসাম যাচ্ছিলাম ট্রেনে, গোটা ট্রেন অন্ধকার। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে জাপানিরা বোমা ফেলতে পারে। অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে চলেছি জলপাইগুড়ি থেকে আসামে শ্রমিষ দের মিটিং করার জন্য অন্ধকার রাতে এই বিপদের মধ্যে। কিন্তু বিশ্বাস করেছি শ্রমিকশ্রেণির মুক্তি। শ্রমিকশ্রেণির মুক্তিতে বিশ্বাস করছি বলেই সেই যাত্রাপথে বাধা কেউ দিতে পারেনি।’ সেই শ্রমিকদের এবং কৃষকদের তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনের মাঝখানে দাঁড় করিয়েছিলেন। এ সবকিছুর বাইরেও জ্যোতি বসুকে আমি দেখেছি এক অসমসাহসী মানুষ হিসাবে। তাঁর কথা মনে করলেই হাজির হয় অসংখ্য উজ্জ্বল স্মৃতি। সেই সব স্মৃতির মধ্যে দেখতে পাই দৃপ্ত জ্যোতিবাবুকে। তাঁর ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। পাটনায় তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছিল। বারুইপুরে তাঁর ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল কংগ্রেসীরা। বসিরহাটে হামলা করেছিল নকশালরা। কোনও ঘটনায় তাঁকে বিচলিত হতে দেখিনি। এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে একটি দিনের কথা। বিরাটিতে একটা সভা করতে যাচ্ছিলেন জ্যোতিবাবু। আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। ১৯৭১ সাল। দমদম বিমানবন্দরের কাছে আমাদের আটকাতে প্রচুর বোমা পড়েছিল। খুব গন্ডগোল হচ্ছিল। আমাদের গাড়ি চালাচ্ছিলেন হাবুদা, কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়লেন। জ্যোতিবাবু বললেনÑ থামলে চলবে না। আমাদের এগতেই হবে। গাড়ি এগলো। বোমাবাজি, হাঙ্গামার মধ্যে দিয়েই আমরা সভায় গিয়ে পৌঁছালাম। সভা হলো। এইরকম আরও ঘটনার সাক্ষী আছেন আরও অনেকে। আমারই কত স্মৃতি আছে। অনেক। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজই ছিল গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করা। শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। ওরা যা করেছিল তার প্রতিশোধ নয়, একথা প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছিলেন প্রমোদ দাশগুপ্ত, জ্যোতি বসু। শুরুতেই বামফ্রন্ট সরকারের একটা পদক্ষেপ হলো সার্বিক বন্দিমুক্তি। আমাদের পার্টিকর্মীদের, সেই সঙ্গে নকশালদেরও মুক্তি দেওয়া হলো। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় কংগ্রেসের মাঝারি মাপের অনেক নেতাকেও ওদের দলের কোন্দলে জেলে বন্দি করে রেখেছিলেন, তাদেরকেও মুক্তি দেওয়া হয়। নকশাল নেতা কানু সান্যালকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তখনই। কিন্তু অন্ধ্র প্রদেশের কাড্ডালোর জেলে কেস থাকায় তাঁকে ছাড়া যায়নি। জ্যোতিবাবুর চিঠি নিয়ে তখন আমি অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। বললেন, অসম্ভব, কানু সান্যালকে মুক্তি দিতে পারব না। ফিরে আসতে হলো।

বামফ্রন্ট সরকার যে অন্যরকম সরকার তা প্রথম দিনেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়ে মহাকরণে ঢোকার সময়েই তিনি বললেন, সরকার মহাকরণ থেকে চলবে না। তার মানে কী মহাকরণে কোনও কাজ হবে না? তা নয়া সরকারকে নেমে আসতে হবে সাধারণের মধ্যে। এটাই ছিল বামফ্রন্ট সরকারের মূল দৃষ্টিভঙ্গি। ১৯৭৭-এর পর পঞ্চায়েতের এতবড় সাফল্য, যা পরবর্তীকালে গোটা দেশে মডেল হয়ে উঠলো তার পেছনেও রয়েছে গণআন্দোলনের এক বর্ণময় ইতিহাস। ১৯৬৭, ১৯৬৯, দু’বারের যুক্তফ্রন্ট সরকার, ব্যাপক জমির লড়াই, তার পটভূমিতেই ১৯৭৭ সালে শুরু হলো জমির পুনর্বণ্টন। জোতদারদের হাতে যে শত শত সিলিং বহির্ভূত জমি, যার রাজনৈতিক খুঁটি ছিল কংগ্রেস, তা এল প্রান্তিক মানুষের হাতে। বর্গাদারের অধিকার প্রতিষ্ঠা হলো। এসবের ফল পাওয়া গিয়েছিল কৃষিতে।

জ্যোতি বসু শিল্পে এগনোর ওপরও বারবার জোর দিতেন। তাঁর উদ্যোগের নির্যাস হলো উন্নয়নের স্বার্থে শিল্পের প্রয়োজনীয়তা। প্রয়োজন কর্মসংস্থান। এর ওপর দাঁড়িয়েই তৈরি হয়েছিল বামফ্রন্টের শিল্পনীতি। আস্তে আস্তে আমরা এগিয়েছি। শিল্পের চিত্রও ক্রমশ পালটেছে। শিল্পের ক্ষেত্রে জ্যোতি বসু আরেকটা বিষয়ে খুবই গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তা হলো শ্রমিকশ্রেণির স্বার্থরক্ষার বিষয়। তিনি শ্রমিক আন্দোলনেরও সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন। শ্রমিক স্বার্থ বিঘিœত যাতে না হতে পারে সেদিকে তাঁর ছিল প্রখর নজর।
এরকম বহু ঘটনার কথাই বলা যায়। জ্যোতি বসুকে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে দেখেছি, প্রশাসক হিসাবে দেখেছি। দুই ক্ষেত্রেই তাঁকে দেখেছি সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে। কত সহজে জ্যোতি বসু প্রকাশ করতেন নিজেকে, পরিস্থিতিকে। কি সাবলীল ছিল তাঁর সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা। এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে পারতেন। তা সে আইন শৃঙ্খলার ক্ষেত্রেই হোক, কিংবা অন্য ক্ষেত্রে। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতেন, আমরা দেখেছি, কত নির্ভুল ছিল সেইসব সিদ্ধান্ত।

লেখক : কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ2025

SHARES

ফেসবুকে অনুসরণ করুন

আরো পোস্টঃ